রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০

তাবুর মাঝে হুরগণ


তাবুর মাঝে হুরগণ
ঐ জান্নাতে থাকবে।
চিরসুন্দর বালাখানায় পরম সুখে সবাই রে বসবাস করবে।

জান্নাতীরা ক্ষণে ক্ষণে
আল্লাহর জিকির করবে।
চিরকালীন কিশোরীরা
তোমার সেবায় থাকবে।
নানা রকম ফল মূল
 পরিবেশন করবে।

সেই জান্নাতের তলদেশে
 ঝর্ণাধারা বইবে।
রেশমী বিছানায় জান্নাতীরা
 হেলান দিয়ে বসবে।
সেথায় তুমি যাহাই চাইবে
তাহাই তুমি পাইবে।

ইনশাআল্লাহ


এই পৃথিবী গড়ব আমি আল কুরআনের সাজে
ভালবাসার বন্ধনেতে মানব জাতির মাঝে।

পরের মাকে ভাবব আমি নিজের মা বলে
আপু বলে সম্মান দিব অন্যের বোন এলে।
ভিখারীদের খেতে দিব নিজে না খেয়ে
ফাসাদ হলে মিটিয়ে দিব প্রতিবেশির মাঝে।

টাকা লাগলে টাকা দিব পাশের বাসার দুখে
অসুখ হলে সেবা করব নিত্য নিজের চোখে।
প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ব তাঁহাদেরই কাজে।

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

মাকে নিয়ে অসাধারণ গান, 'মা' | কথা ও সুর: মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন


পৃথিবীতে সব মানুষের মা একজনই। মাযের তুলনা অন্য কোন মানুষের সাথে হতে পারে না। মায়ের মমতা প্রত্যেক সন্তানের জন্য গগণস্পর্শী।

মা তো মা- ই। বাবার স্হান মায়ের তুলনায় অনেক কম। মায়ের জাত অনন্য। মা বলে কথা।তাই মায়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল মায়ের জাতের সঙ্গ উত্তম আচরণ জরুরী।

সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০১৯

৮ মার্চ আমাদের কথা বলে |মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের কবিতা


মহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের কবিতা, '৮ মার্চ আমাদের কথা বলে' একটি নারী অধিকার বিষয়ক অনন্য সৃষ্টি।

বর্তমান পৃথিবীতে নারী অধিকারের অবস্হা কি, কোথায় যেতে হবে তাদের, করণীয় কি? নানা দিক নির্দেশনার অনন্য কবিতা।

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯

Interactive learning of Peutz Jegher syndrome: A medical lecture by Muhammad Helal Uddin




Peutz Jeghers syndrome is a autosomal dominant syndrome. It has a risk of colonic carcinoma.

Peutz Jeghers syndrome present with pigmented macule in lip. It also present with intestinal intussusception which may require surgical intervention. Details in the video------

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

Muhammad Helal Uddin



Muhammad Helal Uddin (1984-present)

 

  Birth:

                  Dr. Muhammad Helal Uddin was born in Katalia village of Kashinagar 

union of  Chauddagram Upazila  of Comilla district Bangladesh at tenth October 1984. His 

father's name is Muhammad Lutfor Rahman & mother's name is Fatima Sadia.


Early Life :

                 He obtained talentfully scholarship at classs eight examination in 

1997. He passed SSC exam by obtaining 831 marks in 2000 from Kashinogor B M 

High School. Then he passed HSC exam by obtaining 766 marks in 2002. He 

passed MBBS final exam in January 2009 from  Rajshahi Medical College.  He also 

passed FCPS (Part-1) exam in July 2013 in Medicine from  Bangladesh College of Physicians & 

Surgeons. He joined Bangladesh Civil Service at seventh August 2014 at Health Cadre.


Service to Humanity:

Muhammad Helal Uddin joined in prestigious civil servants under the ministry of health and family welfare (BCS), Bangladesh Civil Service examination) in 07 August 2014.He has some signed as a civil servant of honesty, dutifulness and dedication.

Contributions in medical science:

He established  NCDCENTER.COM  in 25 April 2016 which is the first online medical encyclopedia in Bengali language.This is a open source evidence based medical site which can be reliably edited by any physician.


Contribution in literature:



His famous books are:

Poetry:

"BISWOMOY BANGLA BHASHA"---A POETRY  ("WORLDWIDE BANGLA LANGUAGE")
 

Essay:  


Fig: Cover photo of 'Safoller Pothe'

"Safoller Pothe" --An inspiratory book (TOWARDS SUCCESS)

Books :

    Poem:

           The first book written by him is "Biswomoy BanglaBhaSha " The best

poems written by him are :


2.Mandela

3. Chotto Meye

4. Zuboker Artonad

5.BARD

6.Toshamoder Rajniti

7. Somoy

8. Iccashokti

9. Dukher Pahar

10. Protikkha


12. Gontobbo

13. Ratrir Dirghoswas

14. Akankha

15. Ghuri

16. Sabolil Jibon


19. Shuruj Khan

20. Projonmo

 21. Kobitar Tore

Novel :

           The first novel written by him is " Probashir Kanna"

Islamic Book:


4. ট্রাম্পের জেরুজালেম স্বীকৃতি (RECOGNITION OF JERUSALEM BY TRUMP )


STORY OF TOURISM:
যুগান্তরে প্রকাশিত ভ্রমণ কাহিনী: শৈল হাসে রঙ্গিন সাজে




মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫





                            উপন্যাস : প্রবাসের কান্না


                    


                     মা যে আমার কত প্রিয়, ভাষা দিয়ে বুঝাতে পারব না। পৃথিবীর সব একদিকে, শুধু মা

আরেকদিকে ; মায়ের পাল্লাই বেশি ভারী । সন্তান -সন্ততি, ভাই- বোন,স্ত্রী-স্বজন সবার চেয়ে বেশি 

অধিকার  মায়েরই প্রাপ্য। সেজন্য পৃথিবীতে মায়ের তুলনা মা নিজেই, অন্য কেউ নয়।  সন্তান অনেক

দূরে খুব বিপদে পড়লে মায়ের অন্তরে খবর হয়ে যায়। মা ও সন্তানের মাঝে অলৌকিক একটি সুতার

বন্ধন রয়েছে। দূর দেশে সন্তানের বিপদে শত -সহস্র মাইল দূরে থাকলেও মায়ের চক্ষু অশ্রুতে ভরে

যায়। মা শুধু হাহাকার করতে থাকেন। পরে ঠিকই মায়ের কাছে সন্তানের বিপদের সংবাদ পৌঁছে

যায়। পৃথিবীতে প্রত্যেক লোকের এমন মমতাময়ী মানুষ একজনই ;তিনি হচ্ছেন মা, শুধুমাত্র মা, জন্ম

দাত্রী মা ।


            সন্তান প্রসবের আগে  প্রত্যেক মা সন্তানকে প্রায় চল্লিশ সপ্তাহ গর্ভে ধারণ করে রাখেন।

প্রসবের শেষের মাসে মা প্রায় তিন কেজি ওজনের বাচ্চাটিকে প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে বহন করে থাকেন।

প্রত্যেক সেকেন্ডে সেকেন্ডে এত বেশি ওজন ধরে রাখা যে কত কষ্টের, একমাত্র মমতাময়ী মা ছাড়া

পৃথিবীতে সেটি কেউ বুঝে না। গর্ভাবস্থায় বমি, বমি-বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, পেটে ব্যথার যন্ত্রণা ইত্যাদি

তো প্রতিটি মায়ের কাছে অসহনীয়। গর্ভধারণের কষ্ট কি কোনদিন কোন পুরূষ কখনো বুঝে ? হৃদয়ে

অনুভব করে ?

              সন্তান জন্মকালীন ব্যথা জলন্ত অঙ্গারে জ্বলার সমতুল্য।মা যে ঐসময় কত হ্রদয়বিদারক 

ক্রন্দন করেন,  কোন বাবা কি তা স্বচক্ষে দেখেন? দেখেন কেবল ধাত্রী, নার্স আর ডাক্তার । সন্তান

যদি কোনভাবে নিজের জন্মকালীন আপন মায়ের অসহ্য বেদনা আপন চক্ষে দেখতে পেত, তাহলে

কোন সন্তান কোন দিন আপন মায়ের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করত না। 


এমন অনেক মা আছেন আমাদের সমাজে,  যাঁরা সন্তানের দেওয়া কষ্ট সহ্য না করতে পেরে ক্রন্দন 

করেন। ঐ সন্তানের দূর্ভাগ্য, যে সন্তান মায়ের মর্যাদা উপলব্ধি করে না। ছোট বেলায় স্কুলের 

পাঠ্যসূচিতে পড়ে জেনেছি, বায়েজিদ বোস্তামী (র) জগৎ বিখ্যাত আল্লাহর ওলী হয়েছিলেন মায়ের

দোয়ার বরকতে । তাঁর মা একরাতে গভীর রজনীতে ঘুম থেকে জেগে গিয়েছিলেন পানির পিপাসায়।

ঘুম থেকে জেগেই তাঁর মা বললেন,

বাবা, মাকে এক গ্লাস পানি দাও।

ছোট্র শিশু বায়েজিদ তখন কলসির কাছে গিয়ে দেখলেন, কলসি শূন্য। তখন বায়েজিদ ভাবলেন, 

আমার মা পানি চেয়েছেন ; তাকেঁ যেভাবেই হোক পানি দিতেই হবে । এই ছোট্র শিশুটি তখন অন্তরে

মাতৃ ভালবাসা অনুভব করলেন। ছুটে চললেন এক ক্রোশ দূরে পানি আনার জন্য, গভীর রজনীতে 

সমস্ত ভয় -ভীতি উপেক্ষা করে। পানি এনে গ্লাসভর্তি পানি নিয়ে মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে দেখলেন,

তাঁর মা ঘুমিয়ে  পড়েছেন।

 বায়েজিদ ভাবলেন, ঘুম থেকে জাগালে মা কষ্ট পাবেন। বায়েজিদ পানি নিয়ে দাঁড়িয়েই রইলেন। 

ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েই রইলেন ; পায়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে থাকলেন । মাঝ রাতের পর শেষ

রাতও পার হল ;এরপর সুবেহ সাদিক ও শেষ হল। অবশেষে মুয়াযযিনের সুমধুর ধ্বনি মায়ের

কর্ণকুহরে ভেসে আসল। মা আঁখি খুলেই দেখলেন,

পানি ভর্তি গ্লাস নিয়ে বায়েজিদ দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর মা বললেন ,

বাবা,  তুমি সারারাত ঘুমাও নাই ?

বায়েজিদ বললেন , মা, তোমার যদি পানির পিপাসায় কষ্ট হয়, এজন্য সারারাত ঘুমাই নাই।

এরপর মুখ ধূয়ে তাঁর মা পানি খেলেন। তারপর ওযূ করে ফযরের নামায পড়ে দুই হাত তুলে 

আকাশের দিকে তাকিয়ে  তাঁর মা দু'আ করললেন,

রাব্বুল আলামিন, আমি বায়েজিদের মা ; বায়েজিদ আমার সন্তান ; মা হয়ে আমি সন্তানের জন্য

দু'আ করি; আমার বায়েজিদ আজ রাতে আমার জন্য যা করল,তুমি দেখেছ, আমার মন প্রশান্তিতে

ভরে গেছে ;আমি দু'আ করি, তুমি আমার বায়েজিদকে তোমার প্রিয় পরহেযগার লোকদের নেতা 

বানিয়ে দাও ; তোমার রাসূল (স) বলেছেন,

সন্তানের জন্য মায়ের দু'আ এবং আল্লাহর মধ্যে কোন পর্দা নেই। তুমি তিন ব্যক্তির দু'আ সরাসরি

কবুল করে নেও, এর মধ্যে এক ব্যক্তি হল, সন্তানের জন্য মায়ের দু'আ।

আয় আল্লাহ, বায়েজিদ আমার জন্য যা করেছে, আমার মন খুশিতে ভরে গেছে ; তুমি আমার 

বায়েজিদকে তোমার প্রিয় পরহেযগার লোকদের নেতা বানিয়ে দাও। আমিন !!!!!!

এরপর ধীরে ধীরে বায়েজিদ বোস্তামী (র) জগৎ বিখ্যাত আল্লাহর ওলী হয়ে গেলেন। এভাবে কেউ 

যদি মায়ের মন জয় করতে পারে, তাহলে সে মায়ের দু'আর বরকতে দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক

বড়, অনেক কিছু পাবে । সর্বত্র তার জীবন সুখ- শান্তিময় হবে। 


           আমার মায়ের কথা আমার আজ অনেক মনে পড়ছে। আমি তাঁকে খুবই মিস করছি। গতরাতে

খাবার আগে  আমার যেন মনে হচ্ছিল, মা আমাকে ডেকে বলছেন,
       বাবা, তাড়াতাড়ি খেতে আয় ; খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে , পরে খেতে মজা লাগবে না।

এসময় আমার স্বদেশি আরিফ ভাই আমাকে হঠাৎ দেখে বললেন, কিরে হাসান, কাঁদিস না, 

এভাবে কাঁদলে বিদেশে থাকবি কেমনে ? এত দূর প্রবাসে থেকে উপার্জন তো তোর পরিবারের

জন্যই। মন শক্ত কর্ । এভাবেই বিদেশে আমাদের এক সপ্তাহ কাটে ,  কাটে এক মাস, ছয় মাস, 

কারো কারো বছরের পর বছর । 







বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫

                                    প্রবাসের কান্না


                                                       পর্ব: চতুর্থ

                                                                 মা অধ্যায়




               মা  !  আমার মা ।  এক অক্ষরের মা ।  এই জগতের সবচেয়ে আপন মা । আমার আম্মার

মত আর কোন মানুষ এই ধরণীতে নাই। ছয় মাস ধরে মাকে দেখছি না । বিদেশের জমিনে  আছি ।

মাকে দুই চোখে দেখার ইচ্ছে কার নেই।  হাদীসে আছে , "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত । "

এই মায়ের খেদমত করা ছাড়া কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে  না ।


                            আমিও চাই মায়ের খেদমত করতে । আমার আম্মাকে খাবার এগিয়ে দিতে , 

বাজারে গিয়ে গ্যস্ট্রিকের ঔষধ এনে দিতে,   অযুর পানি  এনে অযু করিয়ে দিতে চাই । কিন্তু

সরাসরি সেবা করার সুযোগ কি আমার আছে ? মাসিক মায়ের জন্য তো টাকা পাঠাই , 

মায়ের খরছের জন্য । এতো পরোক্ষ সেবা । সরাসরি সেবা করার জন্য আমার স্ত্রীকে নির্দেশ

দিয়েছি । মাঝে মাঝে পুন: পুন: বলি । মায়ের সেবা করলে তো আল্লাহও উপার্জন বাড়িয়ে দিবেন ,

কামাই  - রোজগারে বরকত দিবেন,  আমার ছেলের বিপদ - মুসিবৎ দূর করবেন । 


                      এটা তো সত্যি যে ,  মায়ের কলিজায় আঘাতদাতা যদি মুফতি, মুহাদ্দেস এমনকি

মক্কা - মদিনার ইমাম ও  হয়  আখেরাতে তার বাসস্হান  হবে জাহান্নাম । এজন্য আমি সবসময়

সতর্ক  থাকি  মায়ের অন্তরে  যেন সামান্যতম আঘাত ও  না লাগে । আমার এটাই  সারা  জীবনের

ধ্যান জ্ঞান ।  পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন , " তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এটা নির্দেশ

করা হচ্ছে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদতের পর পিতা - মাতার খেদমত করবে । " এজন্যই বলা  হয়

আল্লাহর ইবাদতের পরই বাবা - মায়ের খেদমত করা ফরয। 


                               রচয়িতা:ডা. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন





                        ( চলবে) 

শনিবার, ৩০ মে, ২০১৫












                                প্রবাসের কান্না



                                                পর্ব :  তৃতীয় 



                                              সন্তান অধ্যায়



                         একদিনের ঘটনা ।   হাজার হাজার মাইল দূরে বসে  আমার ছোট্র বাবাকে বার বার 

মনে পড়ছে । এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছি । মনে হচ্ছে, দেয়ালের ঐ পাশেই আমার পরান আছে ।

যেন আমাকে   "বাবা বাবা " বলে ডাকছে । আমি তো জানি, সে  ঐ পাশে নাই । কিন্তু কিছুতেই

কাজে মন দিতে পারছি না । কিন্তু হঠাৎ আমি নিজেকে দেয়ালের ঐ পাশেই  আবিস্কার  করলাম ।

মনের ভুলে  কখন যে ঐ পাশে চলে গেলাম টেরও পেলাম না। 


                           পৃথিবীটা  বুঝি এ রকমই। সবই আমার ভাগ্য। হায়রে আমার কপাল। হায়রে 

জীবন ! আমার আদরকে হাজার হাজার মাইল  দূরে রেখে আমি কিভাবে দিন যাপন করি?

কয়টা টাকা  উপার্জনের জন্য আমাকে এত কষ্ট করতে হচ্ছে ! দেশে কোনভাবে সামান্য  

উপার্জনের ব্যবস্থা থাকলেও আমি এ দূর প্রবাসে থাকতাম না। 


                          সন্তান, স্ত্রী, পিতা-মাতা, ভাই-বোনদের সহচার্য ছাড়া কী পৃথিবীতে দিনানিপাত করা

যায় ? মানুষ কি পারে আপনজন ছাড়া বেচেঁ থাকতে  ? আমি তো মানুষই । মানুষের স্বাভাবিক

স্বভাব - রুচি  তো আমারও আছে । এভাবে কত দিন কাটাব  ? সামান্য কয়েক মিনিট মোবাইল

আলাপে  কি মন ভরে ? চাক্ষুষ কথোপকথন আর যান্ত্রিক কথোপকথন কি সমান  ? 


                            কখনো তো এমনও হয়, সামান্য মোবাইল আলাপের পর মনের দূর সঙ্গ  বেদনা

আরো বেড়ে যায় । এভাবেই দিন কাটাতে হচ্ছে। উপার্জনের  আশায়  । আর উপার্জন তো আমার

সন্তানের ভবিষ্যতের আশায় , আমার স্বজনদের জন্যই  তো । আমার আদরের পড়াশোনার  জন্য

তো অর্থের প্রয়োজন । অর্থ তো উড়ে আসে না ,  পরিশ্রম  দিয়ে অর্জন হয় আল্লাহর রহমতে ।

এজন্যই তো আমার এত চেষ্টা  । 



                     ( চলবে)


                                        রচয়িতা : ডা.  মুহাম্মদ হেলাল  উদ্দিন

!

শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫









           প্রবাসের কান্না


         হায়রে আমার চোখের মণি। চার বছরের আদরের শিশু। পরানের পরাণ। ডাকিও তাই

শাহপরান। ছয় মাস কেটে গেল। জন্মভূমি থেকে ফিরে আসার। দুই চর্মচক্ষে দেখা হচ্ছে না,মনে

হয় , দুই যুগ ধরে। কোথায় পাব দেখা! আমার আদর তো থাকে হাজার হাজার মাইল দূরে।


                       মনটা বার বার হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কোথায় পাব দেখা! এই ব্যথা কী সহনীয়! হায়রে
আমার জীবন। মাঝে মাঝে ছোট্র বাবার  সঙ্গে মোবাইলে কথা বলি। তাই বলে সহচর্যের ক্ষুধা  কী
মিটে? হায়রে পরান!  


গত গ্রীষ্মে দেশে গিয়েছিলাম।  আমার হাত ধরে গাঁয়ের পথ দিয়ে হাঁটত । আমি কোথাও রওয়ানা

দিলে কান্না শুরূ করত ।  বুকে নিয়ে আদর করে কান্না থামাতাম । পরে চুপিচুপি গন্তব্যস্হানে  যেতাম।

ঘরে ফিরে আগে আমার বাছার সঙ্গে দেখা করতাম । হাতে গ্রীষ্মের লিচু ফল দিয়ে বলতাম , বাবা

খাও । আমার পরান নিজে খেত এবং আমাকেও খাইয়ে দিত । আমার হাত ধরে হাঁটার জন্য সে

খুবই পাগল। রীতিমত আমার ভক্ত ।



                    আমার সেই ছোট্র বাবাকে আজ বহুদিন ধরে দেখি না  দুই জীবন্ত চোখে । তবে  ঘুম

নামক অর্ধমৃত চোখে তাকে বহুবার দেখেছি । এই দূর দেশে তার স্মৃতি ভাবাই আমার শখ । আমার

ছোটবেলায় খেলাধূলাই বেশি পছন্দ করতাম । বড় হয়ে ফুল বাগান পরিচর্যাই বেশি শখ ছিল ।

আর এখন এই বিদেশের জীবনে আমার ছেলের স্মৃতি ভাবাই আমার সবচেয়ে প্রিয় শখ। রাতে

ওর কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি টেরও পাই না । প্রায় প্রতি রাতেই ওরে স্বপ্নে দেখি ।

ঘুমের ঘোরেই ওর জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ি । ঘুম থেকে জেগেই দেখি , আমার চোখে - মুখে পানি।

এ প্রসঙ্গে একজন মনীষির একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা যায় ,"  প্রতি রাতেই  ঘুম থেকেই জেগে দেখি

আমার মুখ ও বুক চোখের পানিতে ভিজে গেছে । তাহলে কী  আমি ঘুমের ঘোরেও  তোমার  জন্য

কষ্ট পাই ! "        


                                                               ( চলবে)


               রচয়িত : ডা. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন


সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫













                     প্রবাসের কান্না

         কান্না! কান্না! হায়রে কান্না! মানুষের জীবন
তো হাসির সঙ্গে কান্নাময় । জীবন চলার জন্য প্রয়োজন টাকা। এই

টাকা উপার্জন একটা সীমা পর্যন্ত খুবই কঠিন। সীমারেখা অতিক্রম করার পর অর্থ উপার্জন সহজসাধ্য হয়ে পড়ে। তখন প্রয়োজন হয় বুদ্ধিদীপ্ত পরিশ্রম। তুমুল পরিশ্রমই বটে।

                   ্্্্্্্্্্্্্্

            ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্      

         (চলবে)

বুধবার, ১১ মার্চ, ২০১৫

প্রবাসীদের জীবন

              প্রবাসীদের জীবন







প্রবাসের জীবন কতই না কঠিন? সন্তান,স্ত্রী,পিতা - মাতা থেকে বহু দূরে অবস্থান করেন তারা। সন্তানের কথা

স্মরণ করে তাদের চক্ষু-অশ্রু নিত্য দিনের সঙ্গী। কখনো সেই চক্ষু-অশ্রু খাবারে মিশে গলাধ:করণও করতে 

হয়। কর্ম কষ্ট,  খাবার কষ্ট, শয়ন কষ্ট তো আছেই। এভাবে দিন কাটে তাদের।
                          ( চলবে)

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

PILES (পাইলস)










                               PILES(পাইলস)





congestion of venous plexuses around anal canal is called piles. Another name of piles is haemorrhoids.This is common in adults.Cause is not known. It is thought that

piles is related with constipation and straing.It may develop for the first time during

pregnancy.

Classification of piles :

                    Piles is classified into three types. These are -

                   1. First degree piles

                  2.  Second degree piles

                   3.Third degree piles

                First degree piles bleed. Second degree piles prolapse but retract                 spontaneously. Third degree piles require manual replacement after prolapsing.

Clinical Features:

                 Bright red rectal bleeding is noticed after defecation. Pain,itching around an

anus and mucous discharge are also complained.

       Treatment:


                      1.Measures to prevent constipation and straing

                2.Injection sclerotherapy and band ligation is effective for most of the people

                3. Haemorrhoidectomy is required in minority of patients which is

                 usually curative



               EDITOR  :  DR. MUHAMMAD HELAL UDDIN


মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

অতীত জীবন
















                                                                        অতীত জীবন



                      জীবনের কাটানো সময় অাজ স্বপ্ন। 

                   কত বিচ্ছুরিত অবারিত আলোকরশ্মি

                  অাজ মিলিয়ে গেছে নীল আকাশের পানে,

                 অর্জনহীন গ্লানি রেখে মনের গহীনে।

                তবু আশা,নতুন আশায় বুক বাঁধি

              তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলোর ভুবনে ! 




                                                       তবু অতীত জীবন প্ররণাদায়ী ভবিষ্যতের

                                                       সুন্দর পথে।  কত রোমাঞ্চকর মুহূর্ত হাজির হয়

                                                      কর্মের পথে, আপন স্মৃতির মানসপটে। 
                  
                                                       অনাগত ভবিষ্যৎ সুশ্রী হোক-

                                                         বারংবার শুনি কর্ণকুহরে

                                                       অতীত শিক্ষা নিয়ে -

                                                        ভেঙ্গে তব ব্যর্থতার গহ্বরে । 




















                           রচয়িতা : ডা. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন

                

রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

একুশ শতকের মানুষের মেজাজ











                                                একুশ শতকের মানুষের মেজাজ 







               এই জগতে মানুষের আগমনের বিশ হাজার বছর পেরিয়ে গেছে । দুনিয়াতে বর্ষ গণনার

               ইতিহাস মাত্র দুই হাজার বছরের। অবনীর ইতিহাস যথাসময়ে কাগজে লিপিবদ্ধ করার

                ঘটনাও বেশী দিনের নয়। ফলে কোন শতকে মানুষের মন -মেজাজ কেমন ছিল তা

                পূংখানুভাবে জানা দূ:সাধ্য বটে।


                                   তবুও কালের পরিক্রমায় আমাদের বর্তমান সময়ে মানুষের মেজাজ  ও

                   পারষ্পরিক ভাব বিনিময়ের প্রক্রিতি বিচিত্র ধরনের । বিগত দুই শতকে মানুষের মেজাজ

                  কিছুটা মধ্যম প্রক্রিতির ছিল। এই মেজাজ সকল মানুষের এক রকম নয়। কারো মেজাজ

                   ঠান্ডা ,কারো গরম ,আবার কারো মেজাজ অত্যন্ত ভয়ংকর । আবার একজনের মেজাজ

                  সর্বক্ষণ এক রকম থাকে না । আবার উত্যক্ত হলে সবাই সমান গরম হয় না। একেকজনের

             গরম হওয়ার ধরন ও একেক রকম । সব মিলিয়ে মানুষের মেজাজ এক আজব বিষয়।



                                                                            মানুষের মেজাজ তার চারপাশের পরিবেশের উপর

নির্ভর  করে। প্রত্যেক মানুষের মেজাজ  সর্বক্ষণ একটা সাম্যবস্থায় বিরাজ করে। পরিবেশের উথথান -

পতন মেজাজকে প্রভাবিত করে। বাহ্যিক ক্ষতি মেজাজকে খিট - খিটে করে । আবার আনন্দ - ফূর্তি

মানুষের মেজাজকে প্রস্ফুটিত করে   ।      মানুষের  মেজাজের বাহ্যিক রূপ হচ্ছে রাগ - হাসি ।






                                    রচয়িতা : ডা মুহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন 

শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

উন্নত বাঙ্গালি

       






                                         উন্নত বাঙ্গালি 




                             একদিন বাংলার আকাশে ধ্বনিবে -----------

                         আজিকার স্বপ্নের স্বাদ ,উচ্চ করে শির 

                          বিচরণ করিবে বিশ্বজুড়ে বাঙ্গালি 

                             রচিবে নব দিগ্বিজয়ী জ্ঞানভান্ডার । 

                            বিজ্ঞানমনষ্ক চিন্তাশীল পুরো জাতি 

                                মননে - মানষে কল্পনায় জ্ঞান 

                                   চক্ষে ফুটিবে প্রজ্ঞা ,

                                     রাগ - বিরক্তি বিসর্জন দিয়ে 

                                      গড়িবে সর্বোচ্চ বিশ্বসভ্যতা । 

                               




                                                                                    কোথাও ধ্বনিবে না কোন অভাবীর ক্রন্দন,

                                                                                       কোন মায়ের আর্তনাদ । ছিন্নমূলের 

                                                                                         থাকিবে আধূনিক আবাসন ,পাবে 

                                                                                            শিক্ষার অফুরন্ত সুযোগ । 

                                                                     বঞ্ছিত রহিবে না কেউ আধূনিক চিকতসার সুযোগ 

                                                                উন্নয়নের সকল সূচকেই হব জগতসেরা  


                                                                 বিশ্বপ্রভুর অপার করুনায়। 



                              

সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫






                               

                                       Diarrhoea




                Increase frequency of defecation is called diarrhoea.



     Pathogens causing diarrhoea :


                 Bacteria:

                                       E. coli,campylobacter,salmonella,shigella

              Virus:

                                  Rotavirus,Noravirus


            Protozoa:



                          Giardia,Entamoeba,Cryptosporidium,Microspora



                   
                   Causes of nonacute diarrhoea in a traveller:


                                           1,Giardia

                                              2;Amebiasis

                                              3,Cryptosporidium

                                             4;Schistosomiasis

                                              5,Strongyloidiasis
       
                                             6,Tropical sprue




Investigations    :


                                CBC

                                 ;Stool R/M/E

                                Serum electrolytes

                                 Serum creatinine

                              Stool and blood culture

                             Sigmoidoscopy and D/R/E


      Management:

                            1 :  Corrrection of fluid balance is the mainstay of management

                            2 :IV antibiotic if need

                    3:Exclusion of chronic diseases of diarrhoea

                            

Dr. Md. Helal Uddin:                              ছোট  মেয়ে       হ...

Dr. Md. Helal Uddin:                              ছোট  মেয়ে


       হ...
:                              ছোট  মেয়ে        হেটে -হেটে ,দেখে -দেখে গ্রামের পথে       দেখিলাম ছোট মেয়ে স্কুলের সাথে     খেলছিল দড...
                             ছোট  মেয়ে


       হেটে -হেটে ,দেখে -দেখে গ্রামের পথে

      দেখিলাম ছোট মেয়ে স্কুলের সাথে

    খেলছিল দড়ি খেলা মধ্যাহ্ন বিরতিতে

    ছড়াচ্ছিল সুন্দরের আভা পরতে পরতে ।

   চন্দ্রের মতন মুখ খানি চক্ষু চপল

  অপার আদুরী মুক্তার কপোল।




                                               
                                               ডাকিতেই চাহিল চক্ষু তুলিয়া

                                                 হাসি মুখে বলিল জী ভাইয়া !

                                                    একই পাড়ায় বাড়ি ,না হয় দেখা

                                                        বিদেশ ফেরত বলিয়া ,সুযোগ পাইয়া।

                                                         চির চেনা আদুরী কোলে তুলিয়া

                                                           আদর -সোহাগ বিলাইল অন্তর জুড়িয়া।
                                                           
                                                              জগত জুড়িয়া ভালবাসার তরে

                                                                 মানুষ পাঠালেন প্রভু গুপ্ত রশ্মি ধরে।







                                                      রচয়িতা ::::::: ডা মুহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন