বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫

                                    প্রবাসের কান্না


                                                       পর্ব: চতুর্থ

                                                                 মা অধ্যায়




               মা  !  আমার মা ।  এক অক্ষরের মা ।  এই জগতের সবচেয়ে আপন মা । আমার আম্মার

মত আর কোন মানুষ এই ধরণীতে নাই। ছয় মাস ধরে মাকে দেখছি না । বিদেশের জমিনে  আছি ।

মাকে দুই চোখে দেখার ইচ্ছে কার নেই।  হাদীসে আছে , "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত । "

এই মায়ের খেদমত করা ছাড়া কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে  না ।


                            আমিও চাই মায়ের খেদমত করতে । আমার আম্মাকে খাবার এগিয়ে দিতে , 

বাজারে গিয়ে গ্যস্ট্রিকের ঔষধ এনে দিতে,   অযুর পানি  এনে অযু করিয়ে দিতে চাই । কিন্তু

সরাসরি সেবা করার সুযোগ কি আমার আছে ? মাসিক মায়ের জন্য তো টাকা পাঠাই , 

মায়ের খরছের জন্য । এতো পরোক্ষ সেবা । সরাসরি সেবা করার জন্য আমার স্ত্রীকে নির্দেশ

দিয়েছি । মাঝে মাঝে পুন: পুন: বলি । মায়ের সেবা করলে তো আল্লাহও উপার্জন বাড়িয়ে দিবেন ,

কামাই  - রোজগারে বরকত দিবেন,  আমার ছেলের বিপদ - মুসিবৎ দূর করবেন । 


                      এটা তো সত্যি যে ,  মায়ের কলিজায় আঘাতদাতা যদি মুফতি, মুহাদ্দেস এমনকি

মক্কা - মদিনার ইমাম ও  হয়  আখেরাতে তার বাসস্হান  হবে জাহান্নাম । এজন্য আমি সবসময়

সতর্ক  থাকি  মায়ের অন্তরে  যেন সামান্যতম আঘাত ও  না লাগে । আমার এটাই  সারা  জীবনের

ধ্যান জ্ঞান ।  পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন , " তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এটা নির্দেশ

করা হচ্ছে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদতের পর পিতা - মাতার খেদমত করবে । " এজন্যই বলা  হয়

আল্লাহর ইবাদতের পরই বাবা - মায়ের খেদমত করা ফরয। 


                               রচয়িতা:ডা. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন





                        ( চলবে)