প্রবাসের কান্না
পর্ব: চতুর্থ
মা অধ্যায়
মা ! আমার মা । এক অক্ষরের মা । এই জগতের সবচেয়ে আপন মা । আমার আম্মার
মত আর কোন মানুষ এই ধরণীতে নাই। ছয় মাস ধরে মাকে দেখছি না । বিদেশের জমিনে আছি ।
মাকে দুই চোখে দেখার ইচ্ছে কার নেই। হাদীসে আছে , "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত । "
এই মায়ের খেদমত করা ছাড়া কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে না ।
আমিও চাই মায়ের খেদমত করতে । আমার আম্মাকে খাবার এগিয়ে দিতে ,
বাজারে গিয়ে গ্যস্ট্রিকের ঔষধ এনে দিতে, অযুর পানি এনে অযু করিয়ে দিতে চাই । কিন্তু
সরাসরি সেবা করার সুযোগ কি আমার আছে ? মাসিক মায়ের জন্য তো টাকা পাঠাই ,
মায়ের খরছের জন্য । এতো পরোক্ষ সেবা । সরাসরি সেবা করার জন্য আমার স্ত্রীকে নির্দেশ
দিয়েছি । মাঝে মাঝে পুন: পুন: বলি । মায়ের সেবা করলে তো আল্লাহও উপার্জন বাড়িয়ে দিবেন ,
কামাই - রোজগারে বরকত দিবেন, আমার ছেলের বিপদ - মুসিবৎ দূর করবেন ।
এটা তো সত্যি যে , মায়ের কলিজায় আঘাতদাতা যদি মুফতি, মুহাদ্দেস এমনকি
মক্কা - মদিনার ইমাম ও হয় আখেরাতে তার বাসস্হান হবে জাহান্নাম । এজন্য আমি সবসময়
সতর্ক থাকি মায়ের অন্তরে যেন সামান্যতম আঘাত ও না লাগে । আমার এটাই সারা জীবনের
ধ্যান জ্ঞান । পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন , " তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এটা নির্দেশ
করা হচ্ছে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদতের পর পিতা - মাতার খেদমত করবে । " এজন্যই বলা হয়
আল্লাহর ইবাদতের পরই বাবা - মায়ের খেদমত করা ফরয।
রচয়িতা:ডা. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন
( চলবে)